ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

মহেশখালী মাতারবাড়ী ইউনিয়ন: মডেল ইউনিয়নের দ্বারপ্রান্তে 

মনির আহমদ, কক্সবাজার ::
মহেশখালী দ্বীপ উপজেলার একটি ছোট্ট দ্বীপ ইউনিয়নেরর নাম মাতারবাড়ী ইউনিয়ন। সম্প্রতি এ উনিয়নটিতেই প্রতিষ্টিত হয়েছে
বাংলাদেশের আলোচিত সর্ববৃহৎ প্রকল্প “কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প”। অবহেলিত এ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই বিদ্যুৎ প্রকল্প মুখি দর্শনার্থীদের ভিড় যেন বেড়েই চলেছে এতদাঞ্চলে। সেই সাথে পরিবর্তন এসেছে শিক্ষা, চাকুরী ও ব্যবসায়। বেড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান ও। এ যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়ার মত। দুই বছর আগেও যে মাতারবাড়ী এলাকায় হাঁটা-চলার মত রাস্তা ছিল না, বসার মত হোটেল বা দোকান ছিল না। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সেই
মাতারবাড়ী এখন একটি মিনি শহরে পরিবর্তন হয়েছে। যা সম্ভব হয়েছে যথাসময়ে পাওয়া একজন উন্নয়নমুখি চেয়ারম্যানের কারনে। তিনি হচ্ছেন মাতারবাড়ীর উন্নয়নের রূপকার বর্তমান চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ। জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তার নিরলস প্রচেষ্টা ও পরিকল্পিত উন্নয়ন সত্যি প্রশংসার দাবীদার। তিনি কয়লাবিদ্যুতের উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশী-বিদেশী পর্যটক আকর্ষনে ও যাতায়াত সুবিধার জন্য
ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে তৈরী করে যাচ্ছেন এলাকার  রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও ড্রেইন সহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। উত্তর রাজঘাট থেকে হন্দ্রাবিল পর্যন্ত বিধ্বস্থ বেড়িবাঁধ সংস্কার করে যানবাহন যাতায়াতের উপযোগী করে গড়ে তুলেছেন তিনি। এ ছাড়া সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মাষ্টার আলতাফ উদ্দিনের বাড়ি সড়ক, সিকদার পাড়া সড়ক, নতুন বাজার টু রাজঘাট সড়ক এবং দক্ষিণ রাজঘাট থেকে ফুলজান মুরা হয়ে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত সড়ক। নতুন বাজারে দীর্ঘ ড্রেইন নির্মাণ, দক্ষিণ রাজঘাট থেকে আজিজিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত বাজার সড়কটি টেকসই ভাবে পাকাকরন। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ফুলজান মুরা পর্যন্ত সড়ক সংস্কার ও পশ্চিম পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণের কাজ ও ইতিমধ্যে শেষ করতে সক্ষম হয়েছেন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ। এ ছাড়াও
পুরান বাজারের পশ্চিমে চেয়ারম্যান পাড়া সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত রয়েছে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড।
চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ্ সাংবাদিকদের বলেন, মহেশখালী-মাতারবাড়ীর সাংসদ আশেক উল্লাহ্র সহযোগিতায় তিনি ৩ বছরের মধ্যে রাস্তাঘাট ও ড্রেইন নির্মাণ করে মাতারবাড়ী উন্নয়নের আমূল পরিবর্তন সক্ষম হয়েছেন। এলাকাকে সাজানোর জন্য একের পর এক মাস্টাররোলে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও এলাকার শিক্ষিত যুবকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকুরী দেয়া, স্থানীয় শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেয়া, প্রকল্পে স্থানীয় লোকজনকে ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন,
“আমি চাই আগামী ২ বছরের মধ্যে মাতারবাড়ীর প্রতিটি ঘরে ঘরে চাকুরী হউক। অপরদিকে তিনি আরো দাবী করে বলেন মাতারবাড়ী উত্তরাংশে অবস্থিত সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের জমির মালিকদেরকে হয়রানী না করে অধিগ্রহণের টাকা প্রদান, টপ-আপ এর টাকা প্রদান সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি আকুল আবেদন জানাচ্ছি”। এলাকার সচেতন নাগরিক
সাংবাদিক আব্দু ছালাম কাকলী জানান, টুঙ্গীপাড়া নামে খ্যাত এ এলাকার মানুষ রাজনৈতিক সচেতন হলেও শিক্ষা দীক্ষা সহ যাপিত জীবনে
মাতারবাড়ী ইউনিয়নবাসী ছিল অবহেলিত। মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ চেয়ারম্যান হবার পর তার যুগোপযোগী উন্নয়নে মাতারবাড়ী ৫০ বছর এগিয়ে এসেছে। সুস্থভাবে কাজ শেষ করতে পারলে এলাবাসীর জীবন মান উন্নয়ন নিয়ে মাতারবাড়ী হবে একটি মড়েল ইউনিয়ন।

পাঠকের মতামত: